আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছুরি হামলায় আহত একজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর উপজেলার একডালা এলাকায় সোমবার বেলা ১১টা দিকে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলে দুপুর পর্যন্ত।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর রহমান জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক আবুল মেম্বার গ্রুপ এবং নাটোর ২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক ইউসুফ আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে একডালা এলাকায় বেলা ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জেরে দুপুরে আবুল মেম্বার গ্রুপের লোকজন শহর থেকে আরও লোক নিয়ে ইউসুফ গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
এতে ৫ জন আহত হন। এর মধ্যে জনি নামের একজনের পেটে চাকু ঢুকিয়ে জখম করা হয়।
জনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনকে পাঠানো হয়েছে সদর হাসপাতালে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম রমজান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার সমর্থকদের ওপর হামলা নির্যাতন শুরু করেছেন।
‘এরই ধারাবাহিকতায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার ৫ সমর্থক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।’
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বরং এমপি সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এমপি শিমুল বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধা দিচ্ছে, যেন নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা একত্রিত হতে না পারে। তারাই বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আমাদের দোষারোপ করেন।’
ওসি মনছুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লোহার পাইপ, রড, ও হাতুড়িসহ চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’