দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুরের সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানি আগামী ২৪ মার্চ তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন।
সোমবার ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন আসামি বরকত ও রুবেলের পক্ষে আইনজীবী মো. শাহীনুর রহমান অনি আংশিক চার্জগঠন শুনানি শুরু করেন।
তবে এদিন সেটি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ মার্চ তারিখ ঠিক করেন বিচারক।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম অনি।
মামলার অপর আট আসামি হলেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ আলি মিনার, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর এবং তারিকুল ইসলাম নাসিম পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও আসিবুর রহমান ফারহান জামিনে রয়েছেন। অপর পাঁচ আসামি কারাগারে আছেন।
শুনানির সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করেও অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওই দুই ভাই ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। এছাড়া রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।