পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকে পড়া বিমানের ফ্লাইটটি অবশেষে ২৫ ঘণ্টা পর উড্ডয়ন করেছে।
সোমবার বেলা ১১টা ২৪ মিনিটের দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি।
রোববার সকাল ১০টায় এই ফ্লাইটটি ওসমানী বিমানবন্দর ছাড়ার কথা ছিল। তবে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিকল হয়ে পড়ে বিমানের বিজি-২০১ এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন। পরে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। এতে বিপাকে পড়েন ওই ফ্লাইটের ২৬৫ জন যাত্রী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ জানান, একটু আগেই ফ্লাইটটি বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘কালকে রাতেই বিমানের বিকল্প এয়ারক্রাফট সিলেটে এসেছিল। কিন্তু তখন হিথ্রো বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের জায়গা খালি পাওয়া যায়নি। এরপর ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। আর যাত্রীদের মধ্যে যারা বাসায় যেতে চান তারা বাসায় ফিরে যান, বাকিদের হোটেলে রাখা হয়। আজ হিথ্রো বিমানবন্দরের ল্যান্ডিং স্পেস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে।’
বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বলেন, ‘সিলেট থেকে ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হওয়ায় হিথ্রো থেকে ফিরতি ফ্লাইটও নির্ধারিত সময়ে আসতে পারবে না। আসতে এক দিন দেরি হতে পারে।’
ইঞ্জিন বিকল হওয়া এয়ারক্রাফটটি মেরামত করে সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিমানের ওই ফ্লাইট লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। তবে উড্ডয়নের ঠিক আগ মুহূর্তে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, উড়োজাহাজের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লেগেছে। ইঞ্জিন কাজ না করায় বিমানবন্দরেই আটকে থাকে এয়ারক্রাফটটি।
ওই ফ্লাইটের এক যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে আটকা পড়ে আছি। কখন ফ্লাইটটি ছাড়বে, এ ব্যাপারেও কেউ কিছু জানতে পারছে না। ফলে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।’
তবে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদের দাবি, বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিমানটি অবতরণের আগে কোথাও পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারে।