বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে ভাব জমিয়ে নবজাতক চুরি

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৮:৪৪

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোমাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

যশোর শিশু হাসপাতালে কর্তব্যরতদের চোখে ধুলো দিয়ে দিনেদুপুরে ৮ দিন বয়সী এক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শিশুটির স্বজন, নার্স, স্টাফ ও নিরাপত্তা প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে এক নারী রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে চুরি করেন।

শিশুর মা আসমা খাতুন ও বাবা মেহেদী হাসান জনি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার।

হাসপাতাল সূত্রে ও শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বছর আগে কালিগঞ্জ পৌর শহরের একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দপ্তরি মেহেদী হাসান জনির সঙ্গে কোটচাঁদপুর এলাকার গাংনা এলাকার আসমা খাতুনের বিয়ে হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালিগঞ্জ কুইন্স হসপিটালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই ছেলেশিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা শিশুটিকে যশোর শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

সেখানে ৭ দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে রোববার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা শিশুকে রিলিজ দেয়। এ সময় শিশুর বাবা গাড়ি আনতে হাসপাতালের বাইরে গেলে শিশুর মা ও নানির সঙ্গে বোরকা পরিহিত ৪০ বছরের এক নারীর গল্পে গল্পে অল্প সময়েই ভাব জমে।

একপর্যায়ে ওই নারী শিশুটির দেখাশোনা করবেন জানিয়ে তার মা ও নানিকে সব গুছিয়ে নিতে বলেন। পরে শিশুটির মা ও নানি সব গুছিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন তাদের ছেলেকে নিয়ে ওই নারী পালিয়েছেন। পরে পুরো হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।

এদিকে সন্তান হারিয়ে দিশেহারা শিশুর মা আসমা খাতুন। বলেন, ‘আমার ছেলের জন্য বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। কিন্তু বাড়ি নেয়ার আগেই আমার সোনামানিকরে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। বাড়ির সবার কাছে কী জবাব দেব। আমার বুকের ধনরে খুঁজে বের করে দেন।’

শিশুর বাবা মেহেদী হাসান বলেন, ‘সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক রাউন্ড শেষে আমার ছেলেরে রিলিজ দেয়। ছেলে ও তার মারে বাড়ি নেয়ার জন্য ইজিবাইক আনতে গেছিলাম। নিচে ইজিবাইক দাঁড় করে এসে শুনি আমার ছেলেরে কে যেন চুরি করছে।’

এ ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ নূর-ই-হামিম বলেন, ‘শিশুটি চুরির খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুত আমরা পুলিশকে জানাই। আমাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না।’

তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোমাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

এ বিভাগের আরো খবর