বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বলইকাঠি গ্রাম সংলগ্ন নদী থেকে মো. ইজাজুলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ইজাজুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার কল্লা গ্রামে। ঢাকার দক্ষিণখান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ত সে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলইাকাঠি গ্রামের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘রোববার সকালে মাঝ নদীতে ইজাজুলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। পরে ট্রলার নিয়ে তার লাশ উদ্ধার করি। এরমধ্যে পটুয়াখালীর কোস্টগার্ড সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। পরে সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।’
ইজাজুলের মেজ ভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয় ইজাজুল। আসার সময় বলেছে, বন্ধু মাসুদের বোনের বিয়েতে অংশ নিতে পটুয়াখালী যাচ্ছি।’
আজিজুল জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলেও মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে।
ইজাজুলের বন্ধু ইব্রাহিম খলিল বাপ্পি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে তিন বন্ধু বলইকাঠিতে বন্ধু মাসুদ খানের বাড়িতে বেড়াতে আসি। ওই দিন দুপুরে আমরাসহ এলাকার ৭/৮ জন একসঙ্গে লোহালিয়া নদীতে গোসল করতে নামি।
‘এ সময় তারা সবাই সাঁতার কেটে নদীর এপার থেকে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাঝ নদীতে যাওয়ার পর স্রোত বেশি থাকায় তিন বন্ধুই অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে স্রোতের টানে ভেসে যায় ইজাজুল। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
‘তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়। ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ইজাজুলের সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।’
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রেজওয়ান জানান, শুক্র ও শনিবার দিনভর উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও ইজাজুলের কোনো সন্ধান পাননি তারা। রোববার সকালে স্থানীয়রা ইজাজুলের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।