বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগাম তরমুজে চরের কৃষকদের মুখে হাসি

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৫

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চরের বেলেদোঁয়াশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাদের পরামর্শ ও সহয়তা দিচ্ছি। আগাম তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে।’

বরগুনা সদরের বদরখালী ও পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরা ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে প্রায় ৬০০ একরের চর। এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান দুই পেশা হলো কৃষি ও মাছ শিকার।

তবে বেড়িবাঁধের কমতি থাকায় চরের এক ফসলি রোপা-আমন প্রতিবছরই জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে লোকসানের মুখ দেখতে হয় কৃষকদের। তাই কৃষিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না মাঝ চরের কৃষকরা।

বছরের পর বছর এমন লোকসানের মুখে টিকে থাকাই যখন দায়, তখন হতাশ কৃষকরা এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকেন। উপায় হয় আগাম তরমুজ চাষে।

আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন ও ভালো বিক্রিতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

বাচ্চু দফাদার এই তরমুজ চাষের প্রধান উদ্যোক্তা।

তিনি বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে সাধারণত চরে পানি ওঠে না। কিন্তু এ মৌসুমে ধানের আবাদও সম্ভব না। তাই বিকল্প কি আবাদ করা যায়, ভাবতে থাকি। বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বানাই এলাকা তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত। ওই এলাকার নিকটাত্মীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হয়। ওনারা আগাম তরমুজ চাষের পরামর্শ দেন।

‘তাই বাজার থেকে বীজ কিনে নিয়ে গত বছর শীত মৌসুমের শুরুর দিকে আমরা কয়েকজন মিলে পাঁচ একর জমিতে মৌসুমের আগেই তরমুজের আবাদ শুরু করি। এতে খরচ হয় ৭৫ হাজার টাকা। কিন্ত বিক্রি করি আড়াই লাখ টাকার তরমুজ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গত বছরের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার কৃষকরা এ বছর শীতের শুরুতে ব্যাপকহারে আগাম তরমুজের আবাদ শুরু করেন। চরে এবার ৩০ একর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।’

এলাকার তরমুজচাষি সগীর দফাদার বলেন, ‘আমরা গত বছর এইখানে আগাম তরমুজের ভালো আবাদ দেখে এ বছর তরমুজ চাষ শুরু করি। এক একর জমিতে আবাদ করতে খরচা হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার বিক্রি করেছি। আশা করি আরও ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব।’

বরগুনার হাটে-বাজারে ভ্যানগাড়িতে বা ফেরিতে করেও প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

তরমুজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এসব তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও কিনছেন।

তরমুজ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। আগাম তরমুজের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে।’

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চরের বেলেদোঁয়াশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ ও সহয়তা দিয়েছি। আগাম তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিগ ফ্যামিলি’ ও ‘সুইট বেবিসহ কয়েকটি জাতের তরমুজ আগাম আবাদ করেছেন মাঝের চরের কৃষকরা। তবে এই চরে স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলে আরও বেশি তরমুজের আবাদ সম্ভব।

সরকারের কৃষি বিভাগ বলছে, তারা কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া অব্যহত রাখবে। তবে চরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরি।

এ বিভাগের আরো খবর