বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম খতিয়ে দেখা হবে: উপসচিব

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ২১:১৪

উপসচিব বলেন, ‘এই মসজিদ ভবন নির্মাণকালে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং প্রকৌশলগত নির্মাণশৈলী ততটা বাস্তবায়ন হয়নি। যেভাবে পরিকল্পিতভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হয়নি। এটা আমার আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা চত্বরে উদ্বোধনের আট মাসের মাথায় ফাটল ধরা সেই মডেল মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন। তিনি জানিয়েছেন, মসজিদের প্রকৌশলশৈলী ভালো হয়নি, নির্মাণকাজে অনিয়ম আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

উপসচিব বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ২ ঘণ্টা ধরে ঘুরে দেখেছেন মসজিদটি। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, ‘হরিপুর মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এনামুল হাসানের দৃষ্টিগোচর হয়। তাদের সদয়দৃষ্টিতে আমি মসজিদটি পরিদর্শনে এসেছি।

‘মসজিদ নির্মাণে তত্ত্বাবধায়ন, নিয়ম-অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এসব খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বিষয়গুলো ঢাকায় গিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ফাটলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই মসজিদ ভবন নির্মাণকালে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং প্রকৌশলগত নির্মাণশৈলী ততটা বাস্তবায়ন হয়নি। যেভাবে পরিকল্পিতভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হয়নি। এটা আমার আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে। মসজিদ নির্মাণকাজে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কোনো কিছু প্রমাণ হলে সরকার নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।’

মসজিদটি গত বছরের ২১ জুন ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেটিতে ফাটল ধরা নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণের ৮ মাসে মডেল মসজিদে ফাটল শিরোনামে নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই দিন অন্য সংবাদমাধ্যমেও এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হয়।

মসজিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ছয়টি দেয়ালে ফাটল প্রথমে চোখে পড়ে স্থানীয়দের।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের শেষ দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করে। রংপুরের মেসার্স খায়রুল কবির নামে এক ঠিকাদার কাজটি পান।

এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাজটি বুঝে নেয়ার কথা। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় মসজিদটির ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি।

ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) এম কে এম নুরুল হাসান মসজিদটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান।

এ বিভাগের আরো খবর