ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি আর চলতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযুষ দত্ত বৃহস্পতিবার সকালে এ অনিশ্চয়তার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘জাহাজের বেশ ক্ষতি হয়েছে কিন্তু এটার সামগ্রিক ক্ষতি নিরূপণ করাটা এখন কঠিন। অনেক কিছুই ক্ষতি হয়েছে। জাহাজ আর চলাচল করতে পারবে কি না, সেটা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।
‘যেহেতু নোঙর করা অবস্থায় হামলা হয়েছে, তাই চলাচলের যোগ্য কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত জাহাজের ক্ষতি হয়েছে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’
জাহাজে থাকা বিএমএ-৫০ ব্যাচের সালমান সামির বরাতে ২৭ ব্যাচের মারচেন্ট মেরিনার আতিক খান ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অফিসার ও ক্রুরা জাহাজেই অবস্থান করছে। একটা টাগ বোট নাবিকদের নিতে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় কেউ যেতে পারেনি। অফিসারদের মনে একটা ক্ষীণ আশা আছে, পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস হয়তো কোনো উদ্যোগ নিতে পারে।
‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে নেভিগেশন ব্রিজ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক আগুন নেভানো সম্ভব হলেও যে ক্ষতি হয়েছে তাতে এই অবস্থায় জাহাজটা আর চলাচলের উপযোগী রইল না। আর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এর মেরামত করাও সম্ভব না।’
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের জাহাজটি তুর্কি বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক নিয়ে দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের বন্দর অলিভিয়ায় পৌঁছায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় বাল্কটির ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। তবে এ ঘটনায় নিহত হন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ।