উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের খবরে রাতারাতি সেখানে স্থাপনা তৈরি করে বাড়তি টাকা আদায়ের চেষ্টা ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেছেন, এই প্রবণতার জন্য এতে জমির ধরন পরিবর্তন হয়ে সরকারের অধিগ্রহণ ব্যয় বেড়ে যায়। এজন্য উন্নয়ন প্রকল্পে জমি লাগলে পরিদর্শনের সময় সেই প্রকল্পের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এনইসি সভায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করা হয়। আরএডিপির আকার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম বড় সমস্যা জমি অধিগ্রহণ। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট দেখে আসেন এক রকম জমি, প্রকল্প নেয়ার পর দেখা যায় অন্য রকম, সব বসতবাড়ি।
‘প্রকল্প বাস্তবায়ন ও জমি অধিগ্রহণের কথা শুনে অনেকে রাতারাতি জমিতে খুঁটি গেড়ে বসেন। ফসলের জমিকে বসতবাড়ি হিসেবে জাহির করেন। অনেকে বলেন, এটা বাপ দাদার ভিটা। তাই জমি অধিগ্রহণে আগে ছবি নিয়ে রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে করে কেউ বলতে না পারেন, জমিতে এটা ছিল, ওটা ছিল।’
শরীয়তপুর-জাজিরা ফোর লেন সড়ক প্রকল্পে অধিগ্রহণের আগেই জমিতে রাতারাতি বাড়িঘর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফাইল ছবি
প্রকল্প বাস্তবায়নে জমির প্রয়োজন জানিয়ে কারও জমি অধিগ্রহণ করলে তার সঠিক মূল্য দিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো এলাকার জমি অধিগ্রহণের জন্য বসতবাড়ির ক্ষেত্রে প্রচলিত বাজারদরের তিনগুণ এবং কৃষি জমিতে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেয় সরকার।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অন্যান্য দেশের চেয়ে কমনিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, করোনা শেষে এটি সারা পৃথিবীর সমস্যা। তার দাবি, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায়ও কম।
মন্ত্রী বলেন, দাম বাড়লেও বাজারে ক্রেতা ঢুকেছে মাল কিনেই বের হয়েছে। কারণ, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে।’
সাম্প্রতিক নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইসিতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব আমাদের এখানে সেভাবে পড়বে না।’