করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অল্প কিছুদিনের মধ্যে এডিস মশা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এডিস মশা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়তে পারে।
করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে বুধবার এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি খুব অল্প দিনের মধ্যে বর্ষাকাল চলে আসে। তখন কিন্তু ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন শহরগুলোত এডিস মশা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যে কারণে চিকনগুনিয়াসহ ডেঙ্গু বেড়ে যেতে পারে। তাই এখন থেকে সর্তক হতে হবে।’
অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘বৃষ্টির পানি যেন কোথাও জমে না থাকে। ফুলের টব থেকে শুরু করে যে সমস্ত জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো যদি আমরা পরিষ্কার করে ফেলি, তাহলে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগের যে ঝুঁকি, সেটা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।’
এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৬১ শতাংশ
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৬১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত সপ্তাহে (২১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) দেশে করোনা সংক্রমণ কমেছে ৬০ দশমিক ০৩ শতাংশ। একই সঙ্গে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমেছে ৬১ শতাংশ।
২১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৮ জনের করোনার টিকা নেয়া ছিল না। ১৮ জনের করোনার টিকা নেয়া ছিল। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছিলেন ১৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছিলেন ৩ জন; বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ জন।
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশের করোনার বাইরেও অন্য দীর্ঘমেয়াদি (কোমরবিডিটি) রোগ ছিল। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যু বেশি হয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, এ কারণে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি।
করোনাভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই করোনার বিরুদ্ধে শেষ হাসি হাসা যাবে।’