করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা নিশ্চিতে দুই সপ্তাহে সাড়ে তিন কোটি মানুষ টিকার আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ কথা জানান।
শামসুল হক বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি খেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এ সময় প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ২ কোটি ৩২ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ১ কোটি ৭ লাখ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১০ লাখ।
তিনি জানান, শুধু ২৬ ফেব্রয়ারিই দেশে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ। যার মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ৮ কোটি ৪৮ লাখ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ৭৩ লাখ মানুষকে।
এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে।
টিকার প্রথম ডোজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘যদিও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে আমার অনেক সংখ্যাক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। তবু এখনও যারা টিকার প্রথম ডোজ নেননি তাদের তাদের কাছের কেন্দ্র গিয়ে এই টিকা নিতে পারবেন। যারা নিবন্ধন করেননি তারাও এই টিকা নিতে পারবেন।’
তাদের বিশেষভাবে টিকা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
শিল্প এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেন জানিয়ে শামসুল হক বলেন, ‘যেসব এলাকায় এখনও টিকা নিতে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে সে সব এলাকার টিকার প্রথম ডোজের বিশেষ কর্মসূচি চলমান থাকবে। বিশেষ করে গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জে অব্যাহত রাখা হবে।’
দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৬ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল।