নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে একটি বহুতল ভবন থেকে মা ও মেয়ে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ডালপট্টি এলাকার ওই ভবনের ছয়তলা থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, নিতাইগঞ্জ ডালপট্টি এলাকার রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর স্ত্রী ৪৬ বছরের রুমা চক্রবর্তী ও তাদের মেয়ে ২২ বছরের ঋতু চক্রবর্তী। নিহত ঋতু ছয় মাসের অন্ত:সত্বা ছিলেন বলে জানান রামপ্রসাদ।
আটকের নাম আল জুবায়ের ওরফে স্বপ্নীল। ২৬ বছরের এ যুবক নগরীর পাইকপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান।
তিনি জানান, আটক জুবায়ের বেলা আড়াইটার দিকে ছয় তলার ওই ফ্ল্যাটের দরজায় নক করেন। এ সময় রুমা চক্রবর্তী দরজা খোলামাত্র জুবায়ের তার গলা চেপে ধরে তার পেটসহ পুরো শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে মায়ের চিৎকার শুনে পাশের কক্ষ থেকে ঋতু ছুটে এলে তাকেও একইভাবে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন জুবায়ের।
এ সময় বটি নিয়ে শীলা নামে এক নারী চিৎকার করতে করতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলে প্রতিবেশীরা ভবনের প্রধান দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তার মুখে ঘটনা শুনে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে জানা যায়, ওই নারী নিহত রুমা চক্রবর্তীর ছেলে হৃদয়ের স্ত্রী। তিনিও ওই বাসাতেই ছিলেন। হামলাকারী তাকেও বটি দিয়ে খুন করতে গেলে তিনি জুবায়েরকে ধাক্কা দিয়ে ওই বটি নিয়েই নিচে দৌড়ে নামেন।
এ ঘটনায় রামপ্রসাদ বলেন, আমার মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অন্যের মুখে জানতে পারি তাদের উপর হামলা হয়েছে। আটক ব্যক্তি আমার পরিচিত নয়।’
ওসি বলেন, ‘নিহতদের শরীরে ছুরির আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে। তবে এখনই সব বলা যাচ্ছে না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’