ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
আইনজীবী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে রুল জারি করেছেন।’
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ৫ জানুয়ারি মাদক মামলায় পরীমনিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০।
এ অভিযোগ গঠনের পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি।
ওই আবেদনের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয়।
গত বছরের রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দের কথা জানায় বাহিনীটি।
এ ঘটনায় বনানী থানার মামলায় পরীমনিসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১৫ নভেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করা হতো।
মামলাটিতে মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান পরীমণি।
গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে মাদকের মামলায় পরীমনিকে তিন দফা রিমান্ডে নেয়া হয়।
পরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র জমা না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হন পরীমনি।