বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেলের দাম আরও বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে মন্ত্রীর ‘না’

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৩২

‘ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছেন। আমরা তাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছি। রমজানের আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়লেও বাড়বে না। বিশ্ববাজারে যদি বাড়েও, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব সেটা সহ্য করার জন্য।’

সয়াবিন তেলের দাম নতুন করে বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে রমজানের আগে তেলের দাম আর বাড়ানো হবে না।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ১ মার্চ থেকে ১৮০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রির কথা জানিয়ে সরকারকে চিঠি দেয়ার পরদিন সোমবার এ কথা বলেন মন্ত্রী।

টিপু মুনশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার উপকরণটির দাম ক্রমেই বাড়ছে আর সমানতালে বাড়ছে দেশেও। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৬৮ টাকা করা হয়। ২০ দিন যেতে না যেতেই দাম নতুন করে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তেল ব্যবসায়ীরা। ১ মার্চ থেকে বাড়তি দাম কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তারা।

তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছেন। তবে কত টাকা বাড়াতে চান সে দামের কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। আমরা তাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছি।

‘রমজানের আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়লেও বাড়বে না। বিশ্ববাজারে যদি বাড়েও, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব সেটা সহ্য করার জন্য।’

আন্তর্জাতিক বাজারে রান্নার উপকরণটির দাম ক্রমেই বাড়ছে আর সমানতালে বাড়ছে দেশেও। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৬৮ টাকা করা হয়। ২০ দিন যেতে না যেতেই দাম নতুন করে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তেল ব্যবসায়ীরা। ১ মার্চ থেকে বাড়তি দাম কার্যকরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তারা।

তবে দাম বাড়াতে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। আর বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর কার্যত সেটি নাকচ হয়ে গেল।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লিটারে ১৬৮ টাকায় যে তেল আমরা বিক্রি করছি, সেটির আন্তর্জাতিক বাজার ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৩০০ ডলার। এখন যে তেল আমরা বাজারে ছাড়তে যাচ্ছি, সেটি ১ হাজার ৪২০ ডলারের। আগামী এক থেকে দেড় মাস পর আন্তর্জাতিক বাজারে কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটি আমরা এখনই বলতে পারছি না। কিন্তু ১ হাজার ৭০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে। তখন পরিস্থিতি কী হবে, তা জানি না।’

আমদানি করা নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন আছে। তারা বসে আন্তর্জাতিক বাজারের ১০ দিন-১৫ দিনের দাম দেখে দেশে যত টাকা দাম হওয়া উচিত, তা ঠিক করে।

এ বিভাগের আরো খবর