সহপাঠীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চলামান আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্বরে অর্ধশতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। এ সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
নেপালের শিক্ষার্থী বিবেক কর্ন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের কোথাও যেন কোনো নারী নির্যাতনের শিকার না হয়। যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে থাকা কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী হামলার মুখে না পড়ে। আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত-আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদন মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এর মধ্যে ছয় আসামিকে রোববার বিকেলে জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারক হুমায়ুন কবির, তানিয়া সুলতানা লিপি ও শরিফুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠান।