সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকরা দাবি করেছেন সারাদেশে শতভাগ টাইমস্কেল বাস্তবায়ন।
এক দফার এ আন্দোলনে তারা ঘোষণা করেছেন একাধিক কর্মসূচি।
রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষকরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের নেতা মো. আব্দুল কাইয়ুম।
তিনি বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে সফল পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আদেশ নয়, সন্তোষজনক বেতন অপরিহার্য। তাই আমরা শতভাগ টাইমস্কেল দাবি করছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘শিক্ষকদের ক্ষুধার্ত রেখে শ্রেণিকক্ষে ভাল পাঠদান আশা করা যায় না বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তার এ নির্দেশনার ইতিবাচক প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
‘বাড়তি জনবল ছাড়াই আমরা গত ১১ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছি। দ্রুততম সময়ে তা আমরা শেষ করে আসছি। যে পরীক্ষায় পাশের হার প্রায় ৯৮ ভাগ। এ সফলতা আমাদের প্রাপ্য নিশ্চিতে সহায়ক হচ্ছে না।’
প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭০ ভাগ শিক্ষকের টাইমস্কেল কার্যকর করা হয়েছে। অথচ বিভাগীয় অফিসগুলো নানা অজুহাতে শিক্ষকদের এই টাইমস্কেলও আটকে রেখেছে। বিষয়টির সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, শতভাগ টাইমস্কেলের দাবি আদায়ে ১০ মার্চ দেশের সকল জেলায় শিক্ষক সমাবেশ করা হবে। সেদিন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
এরপর ২৫ মার্চ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা হবে। এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে ৩০ মার্চ ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। সেখান থেকে দেয়া হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।