সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারও আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলার পরামর্শও দেন ফখরুল। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান থাকবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ‘২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোল মডেল' শীর্ষক আলোচনা সভায় ফখরুল এ আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে, তা উত্তরণের পথ আছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্বাচনব্যবস্থা। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন। জনগণ পছন্দমতো প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন। তা ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
ফখরুল বলেন, ‘৩১ বছর পর গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় পরিষ্কার হয়ে গেছে এই দেশে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়, তাহলে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না।’
এরশাদের সরকার যেমন স্বৈরাচারী শাসন করেছিল, সেই রকমই একটা সরকার দেশ পরিচালনা করেছে বলে মন্তব্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। বলেন, ‘গণ-আন্দোলন ছাড়া কোনো স্বৈরাচার পথ ছাড়তে বাধ্য হয় না। আওয়ামী লীগ নেত্রী শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চালু করেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, ‘খালেদা জিয়া যেন রাজপথে থাকতে না পারে, সে জন্য তাকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজপথে আছে। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। আপনারা হতাশ হবেন না।’