গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ছয়জনের প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতীকী এই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এর আগে বিচারকের ভূমিকায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শেখ ফাহিম তাদের ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকরের রায় দেন। রায় কার্যকরে জল্লাদের ভূমিকায় ছিলেন ট্রিপল-ই বিভাগের ছাত্র হাসান হৃদয়।
ফাঁসির মঞ্চ তৈরির পর ছয়জনকে সেখানে তোলা হয়। তাদরে মাথা কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ফাঁসির দড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত-আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদন মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। তাদের মধ্যে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ। র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ছয়জনকে রোববার দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
র্যাব যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা হলেন রাকিব মিয়া ওরফে ইমন, পিয়াস ফকির, প্রদীপ বিশ্বাস, নাহিদ রায়হান, হেলাল ও তুর্য মোহন্ত।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘তাদের গোপালগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’