সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘মাথাব্যথা একটা নিয়ে, নির্বাচনকালীন সরকার কারা থাকবে। যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে, তাহলে নিশ্চিত থাকেন কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ তাদের মতো করে একই কায়দায় করার চেষ্টা করবে।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালামের সাম্প্রদায়িক উক্তি ও নিপুণ রায় চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে শনিবার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
ফখরুল বলেন, ‘একমাত্র দাবি নির্বাচন কমিশন নয়, সার্চ কমিটি নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন তৈরি করে নিরপেক্ষ নির্বাচন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
নিপুণ রায়ের ওপর হামলার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মূল বিষয় হচ্ছে চরমভাবে গণতন্ত্রহীনতা, ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদিতা জোর করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সাম্প্রদায়িকতা ব্যবহার করছে।’
আওয়ামী লীগ প্রতারণা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সব আশাকে তারা কবর দিয়েছেন।’ মুক্তিযুদ্ধের যে মূল স্পিরিট, সেই আত্মাটা কোথায় গেল বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘এসব ঘটনার কোনো বিচার হয় নাই। বিচার হলেই থলের বিড়াল বের হয়ে যাবে। তাই বিচারহীনতার সংস্কৃতি তারা ইচ্ছা করে টিকিয়ে রেখেছে।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারি হেলালসহ অনেকে।