নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য পছন্দের আটজনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বেছে নিয়েছে সরকার- এমনটা দাবি করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘খাঁটি মানুষ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সরকার সহযোগিতা করলে তার দ্বারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট উপহার দেয়া সম্ভব।’
নির্বাচন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারির পর শনিবার রাতে নিউজবাংলাকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আমি আটজনের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। সেই তালিকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামও ছিল। আমি তার নাম প্রস্তাব করেছিলাম। সার্চ কমিটির সঙ্গে যখন আমি দেখা করি, তখনই ওনার নাম দিয়েছি। সরকারের সুমতি হয়েছে যে তারা ওনাকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এ জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তাকেও অভিনন্দন জানাই।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘সরকার যদি সাহস দেয় এবং জনগণ যদি পাশে থাকে, তাহলে উনি কিন্তু সাহসের সঙ্গে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন। আগামী নির্বাচনটা ভালো হবে।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার একটিই প্রত্যাশা- দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশের ৬০ শতাংশ লোক নির্ভয়ে ভোট দেবে। এই ভোটের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে পুরোপুরি সহাযোগিতা করা দরকার।
‘আমি নির্বাচনের আগে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে হস্তক্ষেপের শঙ্কা থেকেই যায়।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আগ্রহ নেই- বিএনপির এমন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলীয়ভাবে দু-একজনের আলাদা মতামত থাকতে পারে। তবে আমি বলব, একজন খাঁটি মানুষকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। তার প্রতি আস্থা রাখা যায়। তবে সরকারকে সর্বোচ্চ সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। ভালো লোক দিয়ে ভালো কাজ আশা করা যায়।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তারা হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিচারপতি নাজমুন আরা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, কাজী হাবিবুল আউয়াল, ড. সৈকত আলী ও খালেদ সামস।