কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গঠিত এ কমিশনে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই এসেছেন। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন এমনটা প্রত্যাশা করি।
নতুন ইসির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যে প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে সেটাই আমার প্রতিক্রিয়া। এ ইস্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো বক্তব্য দেব না।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ নতুন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাগত জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ কমিশন সবার অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন হওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আইনের প্রতিটা ধাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। প্রথমে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি উল্লেখযোগ্য প্রায় সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডারের প্রস্তাব করা নামের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে কমিটি। রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন আওয়ামী লীগ তাকে স্বাগত জানায়। নতুন নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন। নতুন সিইসি ও চার কমিশনার হিসেবে যারা এসেছেন তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজের জায়গায় মেধা, দক্ষতা নিরপেক্ষতা ও সততার স্বাক্ষর রেখেছেন। তারা সর্বজনগ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব। সমাজেও কখনো তাদের নিয়ে কোনো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শোনা যায়নি। এসব বিবেচনায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী কমিশন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
নতুন ইসিকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদিন নাছিম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি সবার আস্থা-বিশ্বাস থাকার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এমনটা প্রত্যাশা করি।’