বাগেরহাটের কচুয়ায় নিজ বাড়িতে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ২২ বছরের যুবকের নাম ইজাজুল মোল্লা।
শনিবার সকালে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে যান।
মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
সে নিউজবাংলাকে জানায়, তার মা-বাবা বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাসায় সে একা ছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রতিবেশী এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই বখাটেদের কঠোর শাস্তি চাই।’
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ঘটনা শুনে আমরা বাড়ি যাই। জ্ঞান ফিরলে সে আমাদের সব জানায়। আমি জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স তুলশী রানী বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ভয় না পেয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’