বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ছাত্রত্ব ছাড়ার হুমকি বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

  •    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:২৫

আন্দোলনের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজু বলেন, ‘আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা সুন্দর করে সবার ভর্তি বাতিল করে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে উনারাও উনাদের চাকরি ছেড়ে সবাই চলে যাবেন।’

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না হলে তারা ছাত্রত্ব ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শনিবার সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আন্দোলনের মুখপাত্র বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজু।

রাজু বলেন, ‘আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি। আমরা হামলা করতে পারব না, কাউকে মারধরও করতে পারব না। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা সুন্দর করে সবার ভর্তি বাতিল করে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে উনারাও উনাদের চাকরি ছেড়ে সবাই চলে যাবেন।’

শিক্ষার্থীদের চার দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান এই শিক্ষার্থী।

তাদের চারটি দাবি হলো-

১. ধর্ষণে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

২. বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করা।

৪. এ ছাড়া ধর্ষণ ঘটনা সম্পর্কিত সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত থেকে আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদনকে মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে মশাল মিছিল করেছেন প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।

এ বিভাগের আরো খবর