বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে শুধু বিদ্রোহ বলতে নারাজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়াই ছিল মূল কারণ।
রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শুক্রবার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘কথাটা সব সময় বলা হচ্ছে, এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না। একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল।'
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটো ফৌজদারি মামলা দায়ের হলেও গত ১৩ বছরে একটিরও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
২৫ ফেব্রুয়ারি জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ দিন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘একই সঙ্গে একটা আতঙ্কের দিন এই জন্যে যে, এই দিনে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির সবচেয়ে বেশি সেনাবাহিনী ৫৭ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।'
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যে কথাটা সবসময় বলা হচ্ছে এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না। একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। এর পেছনে মূল কারণ, সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়া। সেটাই সেদিন করানোর উদ্দেশ্য ছিল।'
১৩ বছরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব না হওয়া জাতির জন্য দুর্ভাগ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা ছিল। কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের এত কর্মকর্তা চলে যাননি। এখানে ৫৭ জন কর্মকর্তা চলে গেছেন একজন সৈনিক গেছেন।'
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবরসহ অনেকে।