৮০০ যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সেন্ট মার্টিনগামী এমভি বে ওয়ান জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূল থেকে ১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে মাঝ সমুদ্রেই নোঙর করা আছে।
রাতে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগার পর থেকে এটি বাঁশখালী ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার মাঝামাঝি এলাকায় নোঙর করা আছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজে থাকা মানবাধিকার নেতা ও নিউজবাংলা ফোরারে প্রধান উপদেষ্টা আমিনুল হক বাবু।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে যাবে। রাতে কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ আসেনি। তবে রাত সাড়ে ৩টার দিকে কোস্টগার্ডের একটি টহল জাহাজ আসে।
‘বর্তমানে বে ওয়ানের পাশেই এটি অবস্থান করছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেন্ট মার্টিন যাত্রা করতে চাইলেও, যাত্রীরা তাতে রাজি হননি। জাহাজে অন্যান্য যাত্রীর সঙ্গে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকও আছেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কুতুবদিয়ার মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছালে জাহাজটিতে আগুন লাগে।
বে ওয়ানের চট্টগ্রাম অফিসের প্রকৌশলী মইন উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে জাহাজের ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। জাহাজে প্রশিক্ষিত লোকজন ও অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা থাকায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
তিনি জানান, হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জাহাজও অক্ষত আছে। তবে জাহাজের সার্বিক অবস্থা প্রকৌশলীরা তদারকি করছেন। ইঞ্জিন ঠান্ডা হলে ফের যাত্রা শুরু হবে।
মইন উদ্দিন আরও জানান, এমভি বে ওয়ান চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন রুটে সপ্তাহে ৩ দিন চলাচল করে। প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে এটি ৮০০ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল।
জাহাজের যাত্রী মো. আরমান হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, আগুন লেগেছে শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে জাহাজের কর্মীরা অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।