বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়ার ৪ মাস পর বরখাস্ত

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৪২

স্কুল কমিটি ও জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি দুই দফা তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পায়। সবশেষ প্রতিবেদন গত অক্টোবর মাসে জমা দেয়া হলেও ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয় বৃহস্পতিবার।

হবিগঞ্জ সদরের জেকে এন্ড এইচকে হাইস্কুল ও কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে স্কুল কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও এই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে অফিস সহকারী আক্তার মিয়াকে।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ২০১২ সালে সেখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। বছরখানেক পর থেকে স্কুলের আয়ের প্রধান উৎস অটোরিকশা স্ট্যান্ড ভাড়া, দোকান ভাড়া ও পুকুর লিজের টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে। অনিয়মিত হয়ে পড়ে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা।

২০১৯ সালে শিক্ষক-কর্মচারিরা বিষয়টি পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানায়। কমিটি বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোহাম্মদ আবুল হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটি ২০১৮ ও ১৯ সালের ১৭ লাখ টাকা গরমিলের সত্যতা পায়। এর হিসেব চাইলে জাহাঙ্গীর সদুত্তর দেননি।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রতীক মন্ডলকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন আবার তিন সদস্যের কমিটি করে।

এই কমিটি তদন্ত করে ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারি আক্তার মিয়ার জড়িত থাকার সত্যতা পায়। গত ২৬ অক্টোবর এই প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সভা ডেকে বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলম ও আক্তার মিয়াকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান সহকারি প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোহাম্মদ আবুল হাসান।

প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নিতে ৪ মাস সময় লাগল কেন- তা জানতে চাইলে কমিটির সদস্যরা জানান, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমিত ছিল বলে এতোদিন সভা ডাকা যায়নি।

বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যে তদন্ত করা হয়েছে সেটি সঠিক হয়নি। কারণ যে পরিমাণ আয় দেখানো হয়েছে তা অতিরিক্ত। এই আয় থেকে স্কুলের বিভিন্ন খাতে ব্যায় করা হয়। একটা অংশ স্কুলের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। অথচ এগুলোও তার মধ্যে দেখানো হয়েছে। আমি মনে করি এ ব্যাপারে আবার তদন্ত হওয়া দরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর