নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি ডোবা থেকে মাথা উদ্ধারের ১০ মাস পর মিলেছে নারীদেহের বাকি অংশ। মরদেহটি তানজিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তানজিনাকে হত্যা করে মরদেহ ওই ডোবায় গুম করেছেন তার স্বামী রাসেল মিয়া।
ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগের আদর্শনগর এলাকার ওই ডোবায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি সেচ করে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত তানজিনার বাড়ি রংপুর জেলায়। সেখানকার মিঠাপুকুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের রাসেল মিয়া তার স্বামী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাজের সূত্রে তানজিনাকে নিয়ে রাসেল থাকতেন ফতুল্লার মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার সিরাজখানে ভাড়া বাসায়। দাম্পত্য কলহের জেরে গত বছর এপ্রিলের শুরুর দিকে কোনো একদিন স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন রাসেল। মরদেহ কয়েক টুকরো করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন। আর বাড়িওয়ালাকে জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন তানজিনা।
এসআই শাকিল আরও জানান, এ ঘটনার পর রাসেল ওই বাসা ছেড়ে চলে যান। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল ওই ডোবায় ভেসে ওঠে মরদেহের মাথা। অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে ফতুল্লা থানা পুলিশ মামলা করে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে পিবিআই পরে মরদেহটি তানজিনার বলে নিশ্চিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুদিন আগে রংপুর থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর তিনি জানান ওই ডোবাতেই দেহ কয়েক টুকরো করে ফেলে দেয়া হয়েছে। সেচ মেশিন দিয়ে পানি সরানোর পর উদ্ধার করা হয় দেহের অংশবিশেষ।’
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, রাসেলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।