পরিস্থিতির উন্নতির মধ্যেই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু বেড়েছে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫১৬ জনের। এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৯৮ জনের।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫১ জনের।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুও বেড়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর আগের দিন এই সময়ে পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৪টি। এর মধ্যে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা গত ৭ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার কয়েক মাস পর সেদিন প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে হয় ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এরপর টানা বাড়তে বাড়তে ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত হয়ে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৫৯ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুই জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন করে, রংপুর বিভাগে দুই জন এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগে এক জন করে মারা গেছেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে পর পর ১৪ দিন এই পরিস্থিতিতে থাকলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে বলে ধরে নেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নীতিমালা নির্ধারণ করেছে। এরইভাবে কোনো ঢেউয়ে শনাক্তের হার নামতে নামতে ৫ এর নিচে আসলে আর পর পর ১৪ দিন এই পরিস্থিতি থাকলে সেই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড ছুয়ে হয় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও পর দিন থেকেই তা কমতে থাকে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে সব বিধিনিষেধ, তবে মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক।
খুলে দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস চালু হবে ২ মার্চ। শিশু শ্রেণিতে অবশ্য এখনও অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।