র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল প্রাঙ্গণে বুধবার রাত ১০টার এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও একাডেমিক ভবনের কাঁচ ভাঙচুর হয়।
সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষ হলো শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘এফিটাফ’। বিবাদমান গ্রুপ দুটি সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীকে র্যাগ দেয় এফিটাফের কর্মীরা। এর জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মাস্টারদা সূর্যসেন হলে হামলা চালায়। এ সময় এফিটাফ গ্রুপের নেতা সাজ্জাদ আমান পিননের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দশ জনের বেশি আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক টিপু সুলতান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইট-পাটকেলে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কয়েকজন। তাদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যায়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এ ঘটনায় মন্তব্য করতে রাজি হননি এফিটাফ গ্রুপের নেতা সাজ্জাদ আমান পিনন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যাই। তবে এর আগেই তারা সেখান থেকে সরে যায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের ক্ষতি বিবেচনায় আগামীকাল জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি কেউ অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’