মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ২৩ মার্চ ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে বুধবার তিন্নির বড় চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক ছিল।
কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এদিন আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত ২৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ঠিক করেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৫ জানুযারি তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম সাক্ষ্য দেন।
মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। তিনি বিদেশে পলাতক রয়েছেন।
কেরাণীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ পায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এর পর তিন্নির মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় মরদেহটি শনাক্ত করেন।
২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এর পর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।
সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।