জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ৮ কোটি টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা নিজেদের ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে এবার তার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তদন্ত শুরু হয়।
এর আগে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন ইউজিসি সদস্য আবু তাহের, অন্য দুইজন হলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক গোলাম দস্তগীর।
তদন্ত কমিটির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) মঞ্জুরুল হক, উপউপাচার্য (শিক্ষা) নুরুল আলম, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, ট্রেজারার রাশেদা আখতার ছাড়াও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ডেপুটি কম্পট্রোলারসহ অনেকে।
দীর্ঘদিন পর বুধবার অফিস করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে তিনি তদন্ত কমিটির ওই বৈঠকে উপস্থিত হননি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি ফরমের দাম ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। ওই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটির বেশি ব্যয় হয় পরীক্ষা আয়োজনে। আর দুই কোটির বেশি ব্যয় হয় অন্যখাতে।
অভিযোগ আছে, বাকি ৮ কোটি টাকার বেশি নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এর আগে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত শুরু করেছে আজ।