নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহমুদুল ফারুকের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন সার ডিলাররা। ১৫ দিনের মধ্যে তার অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসনে স্মারকলিপিও তারা দিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলামের কাছে বুুধবার সকালে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলার সার ডিলারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সংগঠনটির সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, সার ডিলারদের কাছ থেকে উপপরিচালক ফারুক নানা সময়ে ঘুষ চেয়েছেন। ঘুষ না দেয়ায় নানা হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। সার ডিলারদের প্রায়ই একান্তে সাক্ষাতের জন্য ডাকেন ফারুক। তাতে রাজি না হলে হয়রানি করা হয়।
আব্দুস সালাম জানান, উপপরিচালকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর গত ১২ জানুয়ারি একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কৃষি বিভাগ। এ কারণে এবার তারা স্মারকলিপি দিচ্ছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উপপরিচালক মাহমুদুল ফারুককে অপসারণ না করা হলে সার ডিলাররা ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি শুরু করবেন।
আব্দুস সালাম আরও জানান, নাটোর জেলায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলার আছে ৬৫ জন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডিলার আছে ৬৭ জন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সার ব্যবসায় জড়িত। এর আগে কোনো উপপরিচালকের সময় এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। সুনামের সঙ্গেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নাটোরে কখনও সার নিয়ে কোনো অনিয়ম বা অঘটন ঘটেনি।’
এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহমুদুল ফারুক। তিনি জানান, এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
অভিযোগ ও দাবিনামার স্মারকলিপি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।