বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাফারি পার্কে ১১ জেব্রার মৃত্যু: হচ্ছে ফৌজদারি মামলা

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৫২

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় মামলাও করা হবে। এছাড়া তদন্ত কমিটির করা ২৪টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জানুয়ারিতে ১১টি জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় মামলাও করা হবে। এছাড়া তদন্ত কমিটির করা ২৪টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর এ তথ্য জানান।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীপংকর জানান, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে সাফারি পার্কের সব জেব্রার মৃত্যু ঘটেছে। তবে, প্রথম দিকের তিনটি জেব্রার মৃত্যু ধামাচাপা দিতে আঘাতজনিত কারণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মৃত তিন জেব্রার পেট ধারাল কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে। কে বা কারা মৃত তিন জেব্রার পেট কেটেছে, তা উদঘাটনে নিবিড় তদন্ত প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভেটেরিনারি অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাফারি পার্ক মেডিক্যাল বোর্ডের সভা ডাকার বিধান রয়েছে। এতগুলো জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরিভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। কোন প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করার প্রচলন থাকলেও এক্ষেত্রে তা করা হয়নি, যা রহস্যজনক।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ২২ জানুয়ারি সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। ওই দিন পর্যন্ত আটটি জেব্রা মারা গেলেও প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা কর্মরত অন্য কেউ ঘটনাটি সচিবকে অবহিত করেননি। এতে প্রমাণ হয়, প্রথম থেকেই জেব্রা মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

বিষয়টি অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য ও সরকারি কর্মচারী আচরণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির এ সব মত বিবেচনায় নিয়েই প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রাণির মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটির করা ১১টি স্বল্পমেয়াদী, ৪টি মধ্যমেয়াদী এবং ৯টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) কেয়া খান এবং উপসচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রা মৃত্যুর ঘটনার কারণ উদঘাটন, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২৬ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি করে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

কমিটির সদস্যরা ৩০ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কমিটিতে আরও দুজন বিশেষজ্ঞ সদস্য, জেলা প্রশাসক এবং একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে কোঅপ্ট করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ আরও সাত কার্যদিবস বাড়ানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর