বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিলার-কৃষি কর্মকর্তা বিরোধ, দুজনকেই শোকজ

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:৪২

কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যে কোনো কারণে টাকা চাইতে পারে না। তবুও দুইজনকেই শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তারা জবাব দেবেন।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএডিসির সার ডিলার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি দোষারোপের ঘটনায় দুইজনকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার মঙ্গলবার বিকেলে তাদেরকে এই নোটিশ পাঠান।

সার ডিলার মো. মোরশেদ গত বৃহস্পতিবার সাধন কুমারের কাছে অভিযোগ করেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান তার কাছে চাঁদা চেয়েছেন। তা দিনে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

তবে ছাইদুল অভিযোগ করেন, ডিলার মোরশেদের কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। তাই তাকে ফাঁসাতে মোরশেদ মিথ্যা অভিযোগ করেন।

নিউজবাংলাকে কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার বলেন, ‘ডিলারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যে কোনো কারণে টাকা চাইতে পারে না। তবুও দুইজনকেই শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তারা জবাব দেবেন।

‘এরপর সত্যতা যাচাই করে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মোরশেদ গত বৃহস্পতিবার জানান, ২০১৯ সালে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নে বিএডিসি সার ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কখনো বাগ্‌বিতণ্ডা হয়নি।

মোরশেদ বলেন, ‘গত বুধবার আমাকে ফোন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা চান। নয়তো ডিলার থাকা যাবে না বলে জানান।

“এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘তোর কল্লাডা (মাথা) রাখবাম (রাখতাম) এক জাগাত (জায়গায়), বডিডা রাখবাম এক জাগাত’। তোরে যদি অহন পাই, পাড়া মাইর‌্যা ফুডায়া ফালবাম (ফেলতাম)।”’

এ সার ডিলার আরও বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো প্রয়োজন মনে করেই বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যালয়ে গিয়ে জানিয়েছি। হুমকি দেয়ার অডিও রেকর্ড সংগ্রহে রেখেছি।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোরশেদ ডিলার হিসেবে কাজ করলেও সে ছলছাতুরির আশ্রয় নেয়। গত জানুয়ারি মাসে তার নামে বরাদ্দ সার উত্তোলন না করে অন্য কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই তার সাথে আমার মনোমালিন্য চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেইনি। তার কাছে (ডিলার মোরশেদ) টাকা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ‘ডিলারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।

‘প্রয়োজনে তদন্ত করে টাকা চাওয়ার প্রমাণ মিললে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর