দুই দশক আগে করা এক হত্যা মামলার রায় দিয়েছে বগুড়ার একটি বিচারিক আদালত।
রায়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসামি রতন মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডিত রতন মিয়া সদর উপজেলার মধ্য পালশা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম সাকিলা খাতুন। তিনি পালশা গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে।
২০০২ সালের ২১ জুন সাকিলাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাকিলার ভাই সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
ফাঁসির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, ১৯৯২ সালে রতনের সঙ্গে সাকিলার বিয়ে হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের অভিযোগ তুলে রতন ২০০২ সালে সাকিলার সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ করেন।
২০০২ সালের মার্চে আবারও তারা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। ওই বছরের ২০ জুন সাকিলার ভাইয়ের বিয়েতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাগ করে রতন তার শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন।
পরের দিন রতন তার স্ত্রীকে কবিরাজ দেখানোর কথা বলে, শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। পরে সদরের গোদারপাড়া এলাকার একটি মাঠে সাকিলার মরদেহ পাওয়া যায়।
আইনজীবী বিনয় কুমার আরও জানান, এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, রতন সাকিলাকে প্রথমে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। সেটি না করতে পেরে তার গলায় ও পায়ে ছুরি বসান।
ঘটনার পরপরই পুলিশ রতনকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন তিনি। একই বছরের ১০ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রতনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
আইনজীবী জানান, রতন অনেক আগে জামিন নিয়েছেন। তিনি পলাতক আছেন। রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।