বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জয়, সালমান রহমান ও আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিএনপির

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:০৯

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, আইনমন্ত্রী ‘নির্দোষ আলাপন’ উল্লেখ করলেও কথোপকথনে দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার জন্য বিএনপি এই মুহূর্তে আইনমন্ত্রী, বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টাসহ এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পদত্যাগ দাবি করছে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।

আনিসুল হক ও সালমান রহমানের মধ্যকার একটি টেলিফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তের দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই তিনজনকে পদ ছাড়তে বলেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি তুলে ধরেন।

ফখরুল বলেন, ‘সম্প্রতি এই অবৈধ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের টেলিফোন কনভারসেশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। যাতে এই সরকারের দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই জাতির কাছে বিষয়টি আজ প্রমাণিত সত্যের দলিল।’

সম্প্রতি আইনমন্ত্রীকে ফোন করে একটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন সালমান। জানিয়ে দেন, ফাইলটি তিনি দেখেছেন কি না। আইনমন্ত্রী সালমানকে জানান, তিনি সেটা ছেড়ে দিয়েছেন। তখন সালমান বলেন, এটি জয়ের প্রকল্প। তখন আইনমন্ত্রী বলেন, সেটি খামেই লেখা রয়েছে।

এই ফোনালাপের বিষয়ে আইনমন্ত্রী গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তাদের কথোপকথন ছিল নির্দোষ।

তিনি সেদিন বলেন, “যারা এই অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করছেন, তারা এতই দেউলিয়া যে একটা ‘ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে’ তারা এখন তাদের পুঁজি বানানোর চেষ্টা করছেন। টেলিফোনে আমি একজন উপদেষ্টার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টার একটা প্রজেক্ট, যেটা হচ্ছে তার ব্রেইন চাইল্ড।’

এই ফোনালাপ ফাঁসের তদন্ত হবে জানিয়ে সেদিন মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তদন্ত করা হবে। কিন্তু এটাকে গুরুত্ব দেয়া মনে হয় সঠিক হবে না।’

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, আইনমন্ত্রী ‘নির্দোষ আলাপন’ উল্লেখ করলেও কথোপকথনে দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিএনপিসহ দেশবাসী এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। কিন্তু সরকার এখনও নির্বাক ও নির্বিকার। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি আবারও দাবি করছে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের দুই ক্ষমতাধরের কথোপকথন অস্বীকার না করে আইনমন্ত্রী তা যেহেতু স্বীকার করে নিয়েছেন, তাই এ ঘটনা কালবিলম্ব না করে অবশ্যই তা তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার জন্য বিএনপি এই মুহূর্তে আইনমন্ত্রী, বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টাসহ এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পদত্যাগ দাবি করছে। অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারে মুখোমুখি দাঁড় করানোর জোর দাবি জানাচ্ছে বিএনপি।’

ফাঁস হওয়া কথোপকথনের বর্ণনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘টেলিফোন আলাপে সংশিষ্ট দুই নেতাকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গেছে। সেখানে বলতে শোনা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি প্রজেক্ট নিয়ে জানতে চেয়েছেন সালমান এফ রহমান। জবাবে তা পাস করে দিয়েছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। বিষয়টি টেন্ডারে হবে কি না তাও জানতে চান উপদেষ্টা।

‌‌‘তার মতে, এটা জয়ের প্রজেক্ট। এটা টেন্ডার ছাড়াই হতে পারে বলে তিনি সুপারিশ করেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ সময় মন্ত্রী উপদেষ্টাকে বাসায় আসার কথা বললে উপদেষ্টা জানতে চান ওটা পেয়েছেন কি না। জবাবে মন্ত্রী পেয়েছেন বলে জানান।

‘এ সময় উপদেষ্টা সালমান রহমানের একটি রিট পিটিশন কোন আদালতে হবে, কোন বিচারপতি শুনানি করবেন তাও মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে শোনা যায়। বিচারপতিদের নামও উল্লেখ করা হয়। সবশেষে ওয়াসার একটি প্রকল্প নিয়ে তারা কথা বলেন।’

মির্জা ফখরুল আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে বলেন, ‘লক্ষণীয় তিনি ফোনালাপের কোনো বিষয়বস্তু অস্বীকার করেননি। বরং ইনোসেন্ট কনভারসেশনের মোড়কে তা স্বীকার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দাবি করেছেন, ফোনালাপ রেকর্ড করার ব্যবস্থাই নাকি নেই সরকারের কাছে। তিনি জানান, এটা তদন্ত করা হবে। এখন প্রশ্ন, তা হলে ফোনালাপ ফাঁস করার জন্য আইনমন্ত্রী যে মহলের দিকে আঙুল তুলেছেন তারা কারা?’

এ বিভাগের আরো খবর