বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুদক কর্মকর্তা শরীফের বিষয়ে রিট করতে বলল হাইকোর্ট

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৩

অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘দুদকের উপপরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে ১০ আইনজীবীর দরখাস্তের বিষয় হাইকোর্ট শোনেনি। সংশ্লিষ্ট পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে সরাসরি রিট আবেদন করতে মৌখিকভাবে বলেছেন।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরীর জীবনের নিরাপত্তা এবং তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে ১০ আইনজীবীর দেয়া চিঠি আমলে নেয়নি হাইকোর্ট। তবে তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে সরাসরি রিট আবেদন করতে বলেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলে।

১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বিষয়টি মঙ্গলবার আদালতে উপস্থাপন করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘দুদকের উপপরিচালক শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে ১০ আইনজীবীর দরখাস্তের বিষয় হাইকোর্ট শোনেনি। সংশ্লিষ্ট পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে সরাসরি রিট আবেদন করতে মৌখিকভাবে বলেছেন।’

দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় আদেশ এবং চাকরিচ্যুতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেন ১০ আইনজীবী।

১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ চিঠি পাঠান।

ওই চিঠির বিষয়ে আজকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তখন এ কথা বলেন।

সদ্য বরখাস্ত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ চিঠি পাঠানো হয় বলে নিউজবাংলাকে জানান আইনজীবী শিশির মনির।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রুলস ১৯৭২-এর ১১ক অধ্যায়ের বিধি ১০ অনুযায়ী চিঠি পাঠিয়েছি। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আদেশ প্রদানের দাবি করেছি।

তাদের পাঠানো চিঠিটিকে আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করেছেন।

এই ক্ষেত্রে ১৯৬০ সালের এক মামলায় ভারতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলেন সন্তানহারা মা নীলাবতি বেহারা। সেই চিঠির ভিত্তিতে তিনি ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন।

তাছাড়া পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনেক স্বপ্রণোদিত রুল জারি হয়েছে এবং বিচারও হয়েছে। জেল থেকে পাঠানো চিঠি জেল আপিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আদেশ কামনা করা হয়েছে।

আইনজীবী শিশির মনির ছাড়াও বাকি আইনজীবীরা হলেন-রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আব্দুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।

এ বিভাগের আরো খবর