মাইলেজ ইস্যু সমাধান হওয়ার পরও বন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রুটের তিন জোড়া শাটল ট্রেন চালু হয়নি। ‘অজানা কারণে’ বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জোড়া ডেমু ট্রেনও। ফলে অনেক শিক্ষার্থী পড়েছেন ভোগান্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে। তাই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ভিড়ের মধ্যে জায়গা না পাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকে।
বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে শাটল ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করছেন। কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন বিকল্প উপায়ে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মোহাম্মদ শরীফ হোসেন নামের এক ছাত্র বলেন, ‘একদিকে নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু, অন্যদিকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শাটল এবং ৮টা ৩০ মিনিটে ডেমু বন্ধ। ট্রেনে পা রাখার জায়গা নেই। অন্যদিকে ৯টা থেকে ভাইভা। ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে ফাইজলামি শুরু করেছে।’
সবুজ দাশ নামের আরেক ছাত্র বলেন, ‘এসিওয়ালা বাসে করে যারা যাতায়াত করেন, তারা তো ভুলক্রমেই জানবেন না যে, ডেমু এবং জলজ্যান্ত একটি ট্রেন না থাকার কারণে কী পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আজ শিক্ষার্থীদের।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও আগে বললে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারতাম। আমাদের বলা হয় নাই। আমাদের জানিয়েছে গতকাল রাতে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজ না হলেও আগামীকাল থেকে ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। ডেমু ট্রেন চালুর বিষয়ে রেলওয়ে এখনও কিছু জানায়নি।’