বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম’

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:৫৬

শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠাই নয়, শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বিষয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।

দেশে মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং মার্চে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পাইলটিং শুরু হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে, তা আনন্দময় হবে।

সোমবার রাতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলন: ইতিহাস বাস্তবতা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে এ শিক্ষাক্রমে শিখতে পারবে। তারা সমাজকে এবং শিক্ষকদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিখবে।’

তবে শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠাই নয়, শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার বিষয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার মান বাড়াতে আমাদের অ্যাকাডেমিকভাবে মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা আগের তিনটি বিপ্লব ধরতে পারিনি। এবার আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধরতেই হবে। এই শিল্প বিপ্লব ধরতে আমাদেরকে মাতৃভাষার শেখাটা জরুরি।’

দেশে নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। শিক্ষার মানের ওপর নজর দিতে পারলে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যেতে পারব।’

আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘যখন কোনো দিবস আসে তখন সেটা নিয়ে আলোচনা করি। তারপর ভুলে যাই। আমরা যেন সারাবছর এ বিষয়টি (মাতৃভাষা) নিয়ে আলোচনা করি। শুনেছি এখন থেকে রায় বাংলায় লেখা হবে। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক অর্জন। এখন সবাই নিজের ভাষায় তাদের রায় পড়তে পারবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় দেখলাম কোনো এক রাজনৈতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন আওয়ামী লীগ নাকি ভাষার জন্য কিছু করেনি। তাহলে আমার প্রশ্ন তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি করেছেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তাকেও ভাষা আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা ভাষার সাম্প্রদায়িকতা, ভাষার সঙ্গে ধর্মের সংমিশ্রণ ও একুশের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর