পর্তুগালে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার দেশটির রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এ উপলক্ষে নানা আয়োজন করা হয় বলে দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সকালে চান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে ক্যাম্প মার্ত্রিস দে পাত্রিয়া পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্থানীয় প্রশাসন, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দে আরোইস-এর সহযোগিতায় দূতাবাস মূল কর্মসূচির আয়োজন করে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ব্যানার, পোস্টার ও বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এছাড়াও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদদের এক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দে আরোইস-এর প্রেসিডেন্ট, পর্তুগাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মূল কর্মসূচির শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মহান শহীদ দিসব ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ এবং মানবাধিকার, সাম্য, মুক্তি সহ প্রভৃতি মূল্যবোধের উন্নয়নে ভাষা শহীদদের অনন্যসাধারণ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দে আরোইস-এর প্রেসিডেন্ট মিজ মেদেলেইনা নাতভিদাদ তার বক্তব্যে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং সাংস্কৃতিক ও জনকল্যাণমূলক যেকোন উদ্যোগে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
আলোচনা শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেতকন্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।