বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একুশেও অবহেলিত জাবি শহীদ মিনার

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:৪৬

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও শহীদ মিনারের চারপাশের বেদিতে জুতা পায়ে আড্ডা, খোশ গল্প আর ছবি তুলতে দেখা গেছে দর্শণার্থীদের।

প্রতিবছর ভাষা শহীদ দিবস এলেই ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারটি। তা না হলে সারাবছরই এটি থাকে অবহেলিত।

এবার গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শহীদ মিনারটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে। পরে রাত ১২টার প্রথম প্রহর থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুল দিতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারারসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহীদ মিনারটি নিরাপত্তা বেষ্টিত রাখা হয়। কিন্তু দুপুর না পেরোতেই আবারও অবহেলিত হয়ে পড়ে এটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও শহীদ মিনারের চারপাশের বেদিতে দর্শণার্থীরা জুতা পায়ে আড্ডা দিচ্ছেন, খোশ গল্প করছেন, কেউ কেউ ছবি তুলছেন। সন্ধ্যার পর মানুষের সংখ্যা কমলেও শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা নিয়ে আড্ডা চলছেই। অনেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলছেন বেদিতেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বেলাল রহমান বলেন, ‘আজ ভাষা শহীদ দিবসেও শহীদ মিনারের বেদিতে দর্শনার্থীরা জুতা নিয়ে উঠেছে। এর থেকে হতাশার আর কিছুই নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল শহীদ মিনারে নিয়মিত একজন গার্ড রাখা যেন বেদিতে কেউ জুতা নিয়ে না উঠতে পারে এবং ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে পারে।’

এ বিষয়ে বহিরাগতদের দায়ী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহিন বলেন, ‘তাদের প্রবেশ কমাতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো বন্ধ করে রেখেছি। বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করেছি। অনেক সময় বহিরাগতদের প্রবেশ করতে না দিলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাদের ভেতরে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ আমরা ফেলতেও পারি না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা বলেন, ‘ভাষা শহীদদের কারণেই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলছি। তাদের ত্যাগের কারণেই আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। এ ত্যাগ না হলে হয়তো বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা মন থেকে আসা উচিত ছিল। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আসাটা আমাদের পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। শ্রদ্ধা না থাকার কারণেই শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা নিয়ে ওঠা অপরাধ জেনেও তা করছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর