যথাযথ মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে কর্মরত বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা দিবসটি উদযাপন করেন।
রাত ১২টা ১ মিনিটে ইউনিটের সব সদস্যের উপস্থিতিতে ইউনিট কমান্ডার নাজমুন নাহারের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কন্টিনজেন্টের সব সদস্য ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারের সামনে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও গাম্ভীর্য বিবেচনায় একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে কন্টিনজেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠানে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার নাজমুন নাহার মাতৃভাষাকে দৈনন্দিন জীবনে পরিপালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জাতির জন্য একটি অনন্য গৌরবের উপলক্ষ যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন জাতির মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পরিপালন এবং চর্চায় বিশেষ তাগিদ দিয়ে আসছে।
‘বিশ্বায়নের এই যুগে মাতৃভাষাকে সংরক্ষণ করা সময়ের দাবি। একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা ধারণ করে বিশ্বের সব জাতি তাদের মাতৃভাষা সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা পাবে।’
ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য কন্টিনজেন্ট মসজিদে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত ও মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত এটিই বিশ্বের একমাত্র নারী কন্টিনজেন্ট। এই কন্টিনজেন্টটি ১৫তম রোটেশন হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি থেকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসাতে নিয়োজিত আছে। এর আগে এই মিশনে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪টি নারী কন্টিনজেন্ট সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫তম রোটেশন হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ডেমোক্রেটিক কঙ্গোতে কর্মরত রয়েছে।