বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমের ফাঁদে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেলে হত্যা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৫

পুলিশ সুপার জানান, চক্রের নেতা পপি নিজের ছদ্মনাম ব্যবহার করে মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক আইডি খুলেন। এসব আইডিতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হত। এতে যারা লাইক দিতেন বা কমেন্ট করতেন, তাদের টার্গেট করা হত।

অনলাইনে শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা করতেন সিরাজগঞ্জের মিঠু হোসেন। ফেসবুকে পরিচয় হওয়া এক নারীসহ দুই ব্যক্তির ভরসায় শাড়ির সম্পর্কে ধারণা নিতে গত বুধবার নরসিংদীতে আসেন। নরসিংদী পৌঁছে বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মিঠু। এরপর ওই রাতেই মিঠুর ফোন থেকে কল করে কয়েকজন জানায় তারা মিঠুকে অপহরণ করেছে।

এ সময় পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এ নিয়ে মিঠুর ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলার পর ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মনোহরদীর একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগলিয়াপাড়ার একটি খড়ের গাদার পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ থেকে মনোহরদী থানায় গিয়ে ছবি দেখে মরদেহটি মিঠু হোসেনের বলে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে নরসিংদী জেলা পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর ও নরসিংদীর শিবপুর থেকে শাহনাজ আক্তার পপি ও তার স্বামী আব্দুল বাতেনসহ কাকন খান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে মিঠুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পপি। এরপর অপহরণের পর দাবি করা মুক্তিপণ না পাওয়ায় তাকে হত্যা করে তারা।

নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বোরবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

নিহত মিঠু সিরাজগঞ্জ সদর থানার রায়পুর রেলওয়ে কলোনীর মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা করতেন তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, গাজীপুরের শ্রীপুরের মিঠালু এলাকার শাহনাজ আক্তার পপি ও তার স্বামী আব্দুল বাতেন, শিবপুরের দুলালপুরের আশুটিয়া এলাকার কাকন খানসহ ৩/৪ জনের একটি প্রতারক চক্র রয়েছে। এই চক্রের নেতা পপি নিজের ছদ্মনাম ব্যবহার করে মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক আইডি খুলেন। এসব আইডিতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হত। এতে যারা লাইক দিতেন বা কমেন্ট করতেন, তাদের টার্গেট করা হত।

এভাবে টার্গেট করা বিভিন্ন লোকদের ফ্রেন্ডরিকোয়েস্ট পাঠিয়ে প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ এগিয়ে গেলে তাকে আটকে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করে চক্রের সদস্যরা। অপহৃতদের কারও কারও শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু।

যে প্রতারণার সবশেষ শিকার মিঠু হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর