বরিশালের কালীগঞ্জ ঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় শিশু হামিদুর রহমান স্বাধীনের দুই পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং চিকিৎসা ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে পরিবার।
রোববার সকালে ভোলা প্রেস ক্লাব চত্বরে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
স্বাধীনের বাবা হাসান আলী বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি পরিবার নিয়ে ভোলা ইলিশা ঘাট থেকে মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে রওনা হই। মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জ (উলানিয়া) পৌঁছে লঞ্চটি ঘাটে না বেঁধে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীদের নামানো হয়। আমার পরিবারসহ শতাধিক যাত্রী এই ঘাটে নামে।
‘আমরা নামার পর পরই লঞ্চটি সজোরে টার্মিনালে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছয় বছর বয়সী স্বাধীন আমার হাত থেকে ছিটকে লঞ্চ ও টার্মিনালের চাপায় পড়ে। এতে তার দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এ দুর্ঘনার পর পরই কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি ঘাট ত্যাগ করে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘লঞ্চের চালক ও স্টাফদের খামখেয়ালি ও গাফিলতিতে ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোলাবাসী তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
স্বাধীনের চিকিৎসার ব্যয় এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে ওই ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে ভোলার জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।