বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার্চ কমিটি: তালিকা আরও ছোট হয়ে এবার ১৩ নাম

  •    
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:০১

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পর থেকে কমিশন এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে। এই কমিটির কাছে মোট ৩২২টি নাম জমা পড়ে। সেখান থেকে ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এটি অর্ধেক করতে বৈঠক ছিল, কিন্তু আবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে সুপারিশ করতে ২০ জনের তালিকা আরও একটু ছোট করেছে সার্চ কমিটি। সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে আরও সাতটি নাম ছেঁটে ফেলে ১৩ জনের তালিকা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতিকে ১০ জনের নাম সুপারিশ করতে মঙ্গলবার আবার বৈঠক হবে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে তালিকা পাঠানো হবে।

রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে বৈঠকের পর এই কথা জানান সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সার্চ কমিটির প্রধান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন আইনের আওতায় সার্চ কমিটি হওয়ার পর আমরা ছয়টি মিটিং করেছি। আরেকটি মিটিং আমাদের বাকি আছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় সপ্তম মিটিং করার মধ্য দিয়ে আপাতত আমাদের কাজ শেষ করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ছয়টি মিটিং করেছি আমরা নিজেদের মধ্যে। আর চারটি মিটিং করেছি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আপনারা জানেন প্রথমে ৩২২ জনের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এ ৩২২ জনের তালিকা শেষে আরও চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদেরকেও আমরা ডেকেছি। তারাও কিছু নাম দিয়ে গেছেন।’

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘নাম দেয়ার জন্য একদিন সময় আমরা বাড়িয়েছিলাম। এরপরও বলেছিলাম যদি কোনো রাজনৈতিক দল নাম পাঠায় তাহলে সেটিও আমরা বিবেচনায় নিব। সময় বাড়ানোর পর কিছু রাজনৈতি সংগঠন আরও কিছু নাম পাঠিয়েছে।

‘নামগুলো বিবেচনায় নিয়ে পঞ্চম সভায় আমরা ২০ জনের নাম চূড়ান্ত করি। রোববারের সভায় আমরা ১০টি নাম চূড়ান্ত করতে পারিনি। তবে কাছাকাছি এসেছি। আমরা ১২-১৩ জনের মধ্যে ১০ জনের নাম খুঁজে বেড়াচ্ছি। এর মধ্যে আশা করি আমরা ১০টি নাম পেয়ে যাব। ২২ তারিখ সর্বশেষ মিটিং করে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এ নামগুলো পাঠিয়ে দেব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর থেকে কমিশন এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে এবার আইন করেছে সরকার। এর আলোকে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি। এর আগের দুটি কমিশনও সার্চ কমিটি গঠন করেই করা হয়েছিল, যদিও তখন সুনির্দিষ্ট কোনো আইন ছিল না।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে।

কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছ থেকে নাম চায়। এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তারও নাম জমা দেয়ার সুযোগ ছিল।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাম পাঠানোর সুযোগ ছিল। পরে দুই দিন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবার নাম পাঠানোর সুযোগ দেয় হয়।

তবে যে কারণে এই বাড়তি সময় দেয়া হয়, সেটি সফল হয়নি। বিএনপি বর্ধিত সময়েও কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।

জমা পড়া ৩২২টি নাম গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। তাদেরকে নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণের মধ্যে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়।

এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন জানান, আরও দু-একটি বৈঠক করে ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা করে রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া হবে।

এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটি গঠন করে করা হয়েছিল। এই কমিটি রাষ্ট্রপতিকে নাম সুপারিশ করার পর ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও ২০১৭ সালে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আপিল বিভাগ অসাংবিধানিক ঘোষণার পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ। তবে এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামে বিএনপি।

ব্যাপক প্রাণহানি ও সহিংস সেই ভোটের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ নেয় দলীয় সরকারের অধীনেই। তবে সেই নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে- এমন একটি অভিযোগ তোলে তারা। এ কারণে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে যেতে চাইছে না তারা।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা একটি মীমাংসিত ইস্যু। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন করতে এবার নির্বাচন কমিশন আইনও করা হয়েছে। আর এই আইনের আলোকেই গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর