এক ছেলের জিম্মায় রাখা জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসাকে হাইকোর্টে হাজির করাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আগামী ৬ মার্চ তাকে হাজির করতে বলা হয়েছে।
করিম ভরসার বাকি ৯ সন্তানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রুলে ছেলে সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুলের হেফাজতে থাকা করিম উদ্দিন ভরসাকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়নি তা নিশ্চিত করতে আদালতের সামনে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, একই সঙ্গে করিম উদ্দিন ভরসাকে কেন বাকি ৯ সন্তানের যৌথ নিরাপদ হেফাজতে দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার, রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুল, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুলকে আগামী ৬ মার্চ তার বাবাকে আদালতে হাজির করাতে নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফরোজা ফিরোজ মিতা, কামরুন মাহমুদ, সাবরিনা জেরিন ও এম আব্দুল কাইয়ূম।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম জানান, নিম্ন আদালতের একটি মামলায় করিম উদ্দিন ভরসাকে তার এক ছেলে সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুলের জিম্মায় দেয়া হয়। শিমুল তার বাবাকে জিম্মায় নিয়ে প্রায় বন্দি করে রেখেছেন। তিনি তার অন্য ভাই-বোনদেরকে বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছেন না। এ জন্য করিম উদ্দিন ভরসার ৯ সন্তান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এ জন্য অন্য ৯ সন্তান তার বাবাকে হাইকোর্টে হাজির করতে হেবিয়ার্স কর্পাস রিট করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুল জারি করে এবং করিম উদ্দিন ভরসাকে ৬ মার্চ হাজির করাতে সাইফুল উদ্দিন ভরসাকে নির্দেশ দেয়।
করিম উদ্দিন ভরসা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুর-১ (গংগাচড়া) আসন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।