বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেবে সরকার

  •    
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৩

এটা তো সত্যি কথা যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেটা চেষ্টা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে সেটা সাধারণ মানুষকে দেয়া। আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস উপলক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া যায় কি না। সেটা ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল, দুস্থ লোক যারা তাদের কাছে পৌঁছে দেব। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষকে সেই ব্যবস্থায় আনতে: বাণিজ্যমন্ত্রী

পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের যে কষ্ট হচ্ছে, তা লাঘবে নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আগামী রোজায় এক কোটি মানুষকে এই সুবিধা দেয়া হবে।

টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে বিপুল পরিমাণ ভোক্তার কাছে তা পৌঁছা সম্ভব হয় না বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

সাশ্রয়ী মূল্যের এই পণ্য প্রতিটি ইউনিয়নে টিসিবির মাধ্যমে দেয়া হবে। সংস্থাটি এখন বিক্রি করে ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ। এর সঙ্গে রোজায় খেজুর ও ছোলা যোগ হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পর যাদেরকে সরকার নগদ টাকা দিয়েছিল, সেই তালিকাই এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কাজে লাগানো হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বাড়তে থাকা পণ্যমূল্য সম্প্রতি দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে সরকার ভর্তুকি মূল্যে যে পণ্য বিক্রি করছে, সেই ট্রাক নির্ধারিত এলাকায় যাওয়ার সময় কম দামে পণ্য কিনতে মানুষের দৌড়াদৌড়ির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় তৈরি করেছে।

‘কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ বছর আগে যে দাম ছিল, সেটা এখন ডবল হয়েছে। এখন যদি আমরা বলি দাম বাড়াতে পারবে না, তাহলে তারা (ব্যবসায়ীরা) ইমপোর্ট করবে না। ইমপোর্ট না করলে তো আরও বড় ধরনের ক্রাইসিস হয়ে যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো সত্যি কথা যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেটা চেষ্টা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে সেটা সাধারণ মানুষকে দেয়া। আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস উপলক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া যায় কি না। সেটা ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল, দুস্থ লোক যারা তাদের কাছে পৌঁছে দেবো। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয় এক কোটি মানুষকে সেই ব্যবস্থায় আনতে।’

‘সয়াবিন তেলের দাম না বাড়লে বড় ক্রাইসিস’

বাণিজ্যমন্ত্রী বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন।

কেন সরকার ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে বোতলজাত তেল লিটারে ১৬৮ টাকা করে বিক্রির অনুমতি দিলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম আমরা বাড়িয়েছি। কারণ, ৯০ ভাগ তেল আমরা ইমপোর্ট করি। আন্তর্জাতিক বাজারে সেই তেলের দাম বেড়েছে। কনটেইনার ভাড়া বেড়েছে। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি আমরা ঠিক না করে দিই তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তেল আনবেই না।’

মন্ত্রী জানান, আমদানি করা নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন আছে। তারা বসে আন্তর্জাতিক বাজারের ১০ দিন ১৫ দিনের দাম দেখে দেশে যত টাকা দাম হওয়া উচিত, তা ঠিক করে।

‘ঢাকায় (পেঁয়াজ) যখন ২৫ টাকা হয়েছিল, কৃষিমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা সব ইমপোর্ট বন্ধ করে দেবো, কৃষকরা তো কান্নাকাটি করছে। এটা হচ্ছে সমস্যা। যদি দাম কমে যায় কৃষকরা বলেন কী করব? আবার যখন বেড়ে যায় ভোক্তারা বলেন, দাম বেড়ে গেছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমলে ব্যবসায়ীদের চাপ দিয়ে লাভ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘এক বিষয় হতে পারে যে আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিলাম, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকারসহ সরকারের বিভিন্ন হ্যান্ডস দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ বছর আগে যে দাম ছিল, সেটা এখন ডবল হয়েছে। এখন যদি আমরা বলি দাম বাড়াতে পারবে না, তাহলে তারা (ব্যবসায়ীরা) ইমপোর্ট করবে না। ইমপোর্ট না করলে তো আরও বড় ধরনের ক্রাইসিস হয়ে যাবে।’

‘দাম কমলে কৃষক কী করবে?’

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির নিয়ে এক প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, ‘এর উল্টোটা যদি বলি, পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা হয়ে গেল কেন? কৃষকরা বলছে, পেঁয়াজ কিন্তু আমরা রাস্তায় ফেলে দেবো। এটা কাঁচামাল। দুই দিন যদি ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকে, এটার দাম কিন্তু বেড়ে যাবে।

‘কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের একটি হিসাব দিয়েছে, জায়গা ভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা খরচ প্রতি কেজিতে কৃষকদের। এটাকে অন্তত ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। ২৫ টাকা যদি কুষ্টিয়া রাজবাড়ীতে কৃষকরা বিক্রি করে, ঢাকায় এটা ৪০ টাকা ৪৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

‘ঢাকায় যখন ২৫ টাকা হয়েছিল, কৃষিমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা সব ইমপোর্ট বন্ধ করে দেবো, কৃষকরা তো কান্নাকাটি করছে। এটা হচ্ছে সমস্যা। যদি দাম কমে যায় কৃষকরা বলেন কী করব? আবার যখন বেড়ে যায় ভোক্তারা বলেন, দাম বেড়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর