ভোলায় সালিশে পরাজিত হয়ে যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল জাব্বারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তার ভাই মো. খোকন শনিবার রাত ১২টার দিকে সদর থানায় মামলা করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাব্বারের ভগ্নিপতি মো. আনোয়ার জানান, স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে জাব্বার চাকরি করতেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন দোকান থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল বাকিতে এনে মাহমুদের ঠিকাদারি কাজ করেন। চাকরি ছাড়ার সময় মাহমুদের কাছে তার ওই টাকা পাওনা হয়।
প্রথমে মাহমুদ প্রায় ১৬ লাখ টাকা দিতে না চাইলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারির সালিশে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরের মধ্যস্ততায় বাধ্য হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মসজিদ থেকে জাব্বার নামাজ পড়ে বের হলে মাহমুদের ভায়রার ছেলে শিহাব ওরফে পারভেজ তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। জাব্বারকে বাঁচাতে তার ভাই আবুল খায়ের ছুটে এলে শিহাব তাকেও ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয়রা শিহাবকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
আহত দুই ভাইকে নেয়া হয় ভোলা সদর হাসপাতালে। জাব্বারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, জাব্বারের গলায় প্রায় ১৪টি সেলাই লেগেছে। তার মুখ, মাথা ও পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে।
জাব্বারের স্বজনদের অভিযোগ, মাহমুদ সালিশে হেরে সেই রাগ থেকে শিহাবকে দিয়ে এই হামলা করিয়েছেন।
ওসি এনায়েত বলেন, ‘স্থানীয়রা পারভেজকে ছুরিসহ আটক করে পুলিশে দেয়। তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে তোলা হবে।’