ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জহুরুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তালা সার্কেলের সদ্য বিদায়ী সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গ্রেপ্তার হন এই সাংবাদিক নেতা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পাটকেলঘাটা সদর থেকে জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুর রহমান ফরাজি জহুরুল হককে প্রধান আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জহুরুল হক তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ১০ মিনিটে কিছু মানুষের মিষ্টি বিতরণের একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘বহু অপকর্মের হোতা তালা-পাটকেলঘাটা এএসপি সার্কেল হুমায়ুন কবিরের বিদায়ে পাটকেলঘাটায় চলছে মিষ্টি বিতরণ।’
পোস্টটি পাটকেলঘাটা প্রেস ক্লাবের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করলে দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা আসামিরা দ্রুত লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করে তা ভাইরাল হতে সহায়তা করেন।
মামলাটিতে আরও দুজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন পাটকেলঘাটা থানার তৈলকূপী গ্রামের মৃত শেখ ফজর আলীর ছেলে আব্দুর রহমান ও শাকদাহ গ্রামের মৃত সোহরাব সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান। এর মধ্যে আব্দুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার বাদী এসআই আরিফুর রহমান ফরাজি বলেন, ‘মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন জহুরুল হক। তিনি সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বদলি হওয়ায় মিষ্টি বিতরণ করে ফেসবুকে ছবি দিয়ে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটান। এ কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্য আসামি কুৎসা রটনায় সহযোগিতা করেছেন।’
জহুরুল হকের এমন ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণ ব্যাখ্যা করে পাটকেলঘাটার সাংবাদিক কুমার ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ ও কিছু সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করায় বিদায়ী পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ ছিল সাংবাদিকদের। সেই ক্ষোভ থেকেই ব্যক্তিগতভাবে এমন পোস্ট দিয়েছেন প্রেস ক্লাব সভাপতি।’
এদিকে সাংবাদিক শেখ জহুরুল হককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল ১০টায় নিজ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব।