খুলনার তেরখাদায় রাতে মায়ের পাশ থেকে নিখোঁজের পর সকালে আড়াই মাস বয়সী দুই যমজ বোনের মরদেহ মিলেছে পুকুরে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামে একটি পুকুর থেকে তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মনি ও মুক্তা নামের ওই দুই যমজ শিশুর বাবার নাম মাসুম বিল্লাহ। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামে। তেরখাদার কুশলা গ্রামে দুই শিশুর নানা খায়ের শেখের বাড়ি। সেখানে তারা মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিল।কুশলা গ্রামের লোকজন জানান, খায়ের শেখের মেয়ে কণা খাতুনকে বিয়ে করেন বাগেরহাটের মোল্লাহাটের গাংনীর মাতারচর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ্। মাসুম চাঁদপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঘটনার রাতে তিনি গাংনীতে নিজ বাড়িতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে দুই শিশুকে খাওয়ানোর পর ঘুমিয়ে পড়েন কণা। ঘণ্টাখানেক পর তিনি জেগে দেখেন শিশুরা নেই। এ সময় তার চিৎকারে ঘুম ভাঙে বাড়ির অন্যদের। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকালে দুই শিশুর মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল আলম জানান, বিয়ের পর থেকে কণা খাতুন ও মাসুম বিল্লাহর বনিবনা ছিল না। একপর্যায়ে কণা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে তেরখাদায় বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মাসুম। জন্মের পর থেকে মনি ও মুক্তা নানার বাড়িতেই ছিল।
পরিবারের বরাতে ওসি জানান, শিশু দুটি খুব কান্নাকাটি করত।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দুই শিশুকে খাইয়ে ঘুমিয়ে পড়েন কণা। এ সময় তার ঘরের দরজা খোলা ছিল। রাত আড়াইটার দিকে কণার ঘুম ভাঙলে শিশু দুটিকে না পেয়ে চিৎকার করেন। তাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা। পুলিশ রাতেই শিশুদের সন্ধানে অভিযান চালায়। সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে নানি ফাতেমা বেগম ও মামা নুর আলম উদ্ধার করেন।ওসি আরও জানান, শিশু দুটির মরদেহ পুকুরে পাওয়ার বিষয়টি রহস্যঘেরা। পরিবারের লোকজনের ব্যবহারও সন্দেহজনক। শিশু দুটির বয়স ২ মাস ১১ দিন। তাদের পুকুরে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।